
পানিহাটি প্রবীণ প্রবীণা সমিতি
Panihati Prabin Prabina Samiti
পানিহাটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
সুপ্রাচীন ঐতিহ্যমন্ডিত পানিহাটি- ভাগীরথীর পূর্বতীরে উত্তর ২৪ পরগণার অন্তর্গত বারাকপুর মহকুমার অধীন খড়দহ থানার প্রেক্ষাপটে এক অতি প্রাচীন জনপদ। এই জনপদটি পানিহাটি পৌরপ্রতিষ্ঠানের অর্ন্তভুক্ত।
-
এতে রয়েছে ১২ টি মৌজা – আগরপাড়া, ঘোলা, কৃষ্ণপুর, নাটাগড়, ওসমানপুর, পানিহাটি, পানশিলা, রামভট্টবাটি, সোদপুর এবং তারাপুকুরিয়া। পূর্বে এই জনপদের মধ্যে মূলত গ্রাম হিসাবে পরিচিত ছিল – আগরপাড়া, পানিহাটি, সুখচর, নাটাগড়, ঘোলা ও সোদপুর। ওয়ার্ড সংখ্যাও ছিল ৬টি এবং ১৯০১ সালে লোক সংখ্যা ছিল ১১১৭৮ জন, ১৯৩১ সালে ১১৬৯৯ জন, ১৯৫১ সালে ছিল ৫১৮৭৫ জন। বর্তমানে ওয়ার্ড সংখ্যা ৩৫ ও জনসংখ্যা ২০১১ সালে ৩৭৭৩৪৭ জন। নদীর ধারে জনবসতি গড়ে তোলার শাশ্বত প্রবণতাকে কেন্দ্র করেই মূলতঃ নদীর তীরে সুখচর, পানিহাটি ও আগরপাড়া গ্রামে জনবসতির উদ্ভব। অবশ্য এই তিনের মধ্যে সুখচরের উল্লেখ রয়েছে ১৪৯৫ সালে, রচিত মনসা মঙ্গল কাব্যে। ভাগীরথী পূর্ব্ব পশ্চিমের গ্রাম বা জনপদের সঙ্গে সুখচর গ্রামের উল্লেখ রয়েছে। চাঁদ সদাগরের বাণিজ্যতরী রাজঘাট, রামেশ্বর পার হয়ে সাগর সঙ্গমের দিকে অগ্রসর হবার সময় পথে যে গ্রামগুলি পড়েছিল তার উল্লেখ রয়েছে। “পথে পড়িতেছে, অজয় নদী, উজানী, শিবানদী (বর্তমানে শিয়ালনালা), কাটোয়া ইন্দ্রানী নদী – ইন্দ্রঘাট, নদীয়া ফুলিয়া, গুপ্তিপাড়া, মির্জাপুর, ত্রিবেণী, সপ্তগ্রাম, কুমারহাট, ডাইনে হুগলী, বামে ভাটপাড়া, পশ্চিমে বোরো, পূর্বে কাঁকিনাড়া, তারপর মূলাজোড়া, গারুলিয়া, পশ্চিমে পাইকপাড়া, ভদ্রেশ্বর, ডাইনে চাঁপদানি, বামে ইছাপুর, বাকিবাজার, ডাইনে নিমাইতীর্থ (বর্তমানে বৈদ্যবাটি) চাণক, মাহেশ (বামে) খড়দহ, শ্রীপাট, ডাইনে রিসড়া (রিষড়া), বামে সুখচর, পশ্চিমে কোন্নগড়, ডাইনে কোতরং, বামে কামারহাটি, পূর্বে আড়িয়াদহ (এড়েদহ) পশ্চিমে ঘুষুড়ি, তারপরে পূর্বকূলে চিত্রপুর (চিৎপুর) কলিকাতা, পশ্চিমকূলে বেতড়) তারপর (বামে) কালীঘাট, চাড়াঘাট, ছত্রভোগ, বদরিকাকুন্ড, হাতিয়াগড়, চৌমুখী, শর্তমুখী এবং সর্বশেষে সাগর সংগমতীর্থকার্য শ্রাদ্ধ কৈল পবিত্র তর্পন’।
-
ষোড়শ শতাব্দীর সপ্তম দশকে পানিহাটি বৈষ্ণব সংস্কৃতির অন্যতম বর্ধিষ্ণু কেন্দ্ররুপে বেশ প্রাধান্য লাভ করেছিল মনে হয়। তখন পানিহাটিতে “বড় বড় সমাজ সব পতাকা মন্দিরে” দেখা আশ্চর্য নয়। তার অনেক আগেই রচিত কৃষ্ণদাস কবিরাজের ‘শ্রী চৈতন্য চরিতামৃতে’ এবং বাংলা ভাষায় লেখা প্রাচীনতম চৈতন্যচরিতকাব্য বৃন্দাবন দাসের” চৈতন্যভাগবতে পানিহাটি গ্রামের উল্লেখ আছে। W.W. Hunter তাঁর ‘Statistical Account of Bengal’ গ্রন্থে প্রথম খন্ডে লিখেছেন – Strictly Speaking with the exception of Calcutta there was no large river-side cities, with a community living by water traffic. The following is the list of the chief trading towns and villages showing the principal articles for which each is noted. The Hugli-Baranagar, Dakshineswar, Agarpara, Panihati and Sukchar.” এই গ্রন্থের প্রকাশকাল ১৮৭৫। ২৪ পরগণা জেলার গেজেটিয়ারে উল্লেখ রয়েছে এই গ্রন্থে অন্যত্র বিবরণ রয়েছে- “Chaitanya then stopped at a very populous and prosperous village called Panihati. According to Chaitanya Bhagabata no other village on the eastern bank of the Bhagirathi was as populous and prosperous as Panihati in those days এই গ্রন্থে অন্যত্র বিবরণ রয়েছে – “Legend says that towards the end of the 13th Century A.D., Maharaja Chandraketu of Deganga established a garh here. He placed an icon of Bhowani within the fort. The Bhowani Garh was somewhere in Ghoshpara to the north of Panihati, now is called Bhawanipur. There can still be found an egg-shaped drain supposedly constructed by Chandraketu, traces of which can be seen through garhs, jhils, ponds etc.” Courtesy – Krishanu Bhattacharya





